পেকুয়ায় ইউপি নির্বাচনে মোট ৪০৫জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সাত ইউনিয়নে ৪০জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, মহিলা সদস্য পদে ৬৭জন ও সাধারন সদস্য পদে ২৯৮জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরই মধ্যে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড় থেকে একজন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। গতকাল বুধবার ২মার্চ ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ, আ’লীগের এডভোকেট কামাল হোসেন, স্বতন্ত্র থেকে জাহাঙ্গীর আলম, আলহাজ্ব শাহ আলম, ইসলামী আন্দোলন থেকে নাছির উদ্দিন। উজানটিয়া ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ৫জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আ’লীগের এম শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি থেকে দেলোয়ার করিম চৌধুরী, স্বতন্ত্র থেকে তোফাজ্জল করিম, আজিজুল হক ও বিএনপি থেকে রেজাউল করিম চৌধুরী মিন্টু। শিলখালী থেকে চেয়ারম্যান পদে ৬জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে বিএনপির নুরুল হোছাইন, আ’লীগের কাজীউল ইনসান, জাতীয় পার্টির শহিদুল্লাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদু রশিদ, শামশুল আলম ও জাহেদুল করিম। রাজাখালী ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে ৮জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একজন নারীও প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি থেকে আনোয়ার হোসেন সিকদার, আ’লীগের আজমগীর চৌধুরী, জাতীয় পার্টি থেকে শাহাব উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন থেকে হেলাল উদ্দিন, স্বতন্ত্র থেকে নুরুল আবছার, ছৈয়দ নুর, হুমায়ুন কবির ও শামশুন্নাহার। মগনামা থেকে ৪জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আ’লীগের খাইরুল এনাম, জাতীয় পার্টি থেকে ইউনুছ চৌধুরী, স্বতন্ত্র থেকে শহিদুল মোস্তফা ও বিএনপির শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম। বারবাকিয়া ইউনিয়ন থেকে ৫জন প্রার্থী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী এ,এইচ,এম বদিউল আলম, সাকিল সিকদার, আ’লীগের জিএম আবুল কাসেম, বিএনপির সাইফুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির শহিদুর রহমান ওয়ারেচী। টইটং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ৭জন। আ’লীগের জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির রমিজ উদ্দিন আহমদ, স্বতন্ত্র থেকে মোসলেম উদ্দিন, শহিদুল্লাহ বিএ, রেজাউল করিম, হাছান শরীফ চৌধুরী ও হাবিব উল্লাহ। তাছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে পেকুয়া ইউনিয়ন থেকে ১১ জন ও সাধারন সদস্য পদে ৫৫ জন, মগনামা ইউনিয়ন থেকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২ জন ও সাধারন সদস্য পদে ৩৪ জন, শিলখালী ইউনিয়ন থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৭ জন ও সাধারন সদস্য পদে ৩৭ জন, রাজাখালী ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৭ জন ও সাধারন সদস্য পদে ৪৭ জন, টইটং ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৮ জন ও সাধারন সদস্য পদে ৪৭ জন, উজানটিয়া ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১২ জন ও সাধারন সদস্য পদে ৩২ জন, বারবাকিয়া ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১০ জন ও সাধারন সদস্য পদে ৪৬ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
##################
পেকুয়ায় লবন মাঠের পলিথিনের সাথে শত্রুতা
পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় পুর্বশত্রুতার জের ধরে লবন মাঠের পলিথিন কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বামলারপাড়া এলাকায়। এ ব্যাপারে লবন মাঠের চাষি বদিউল আলম বাদি হয়ে গতকাল বুধবার পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগে জানাজায় ওই এলাকার মুক্তিযুদ্ধা গোলামনবীর ছেলে আ’লীগ নেতা বদিউল আলম বামলারপাড়া এলাকায় লবন উৎপাদন করে আসছিল। ওইদিন গভীর রাতে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার কাছিম আলীর ছেলে বকতিয়ার উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন ও মৃত.আলী আহমদের ছেলে কাইসারসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে লবন মাঠে হানা দেয়। এ সময় তারা প্রায় উৎপাদিত ৪কানি লবন মাঠের পলিথিন কর্তন করে। এতে প্রায় তার ৫০হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। লবন চাষি বদিউল আলম জানায় জমির বিরোধ নিয়ে ওই ব্যক্তিদের আমার বিরোধ চলছে। একটি প্রভাবশালী মহল তাদের মুল শক্তি হিসেবে কাজ করছে। এ ব্যাপারে মামলা মোকাদ্দমাও আছে। এর জের ধরে ওই দিন রাতে মাঠে অনুপ্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পলিথিনগুলো কেটে দেয়। এখন মাঠে লবন উৎপাদন পলিথিন নষ্ট হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে। পলিথিন নষ্ট না করে আমার বুকে গুলি চালালে ভাল হত। কিন্তু এ বর্বর শত্রুতায় আমার আয় ও রিজিক রুদ্ধ করা হয়েছে। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
###############
পেকুয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মেম্বার হচ্ছেন দুলাল
পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হতে চলেছেন আব্দুল আউয়াল দুলাল। তিনি উপজেলার শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড় থেকে ইউপি নির্বাচনে একমাত্র সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ওই ওয়ার্ড়ে গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কোন প্রতিদবন্ধি প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেয়নি। এদিকে ইউপি সদস্য পদে শিলখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড়ে আব্দুল আউয়াল প্রকাশ দুলাল অনানুষ্টানিক ভাবে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ওই প্রার্থীর বাচাই পর্বে তার কোন আইনি জটিলতা বিদ্যমান না হলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সদস্য পদে নির্বাচিত হবেন। গতকাল বুধবার ইউপি নির্বাচনে পেকুয়ায় মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। ওই ওয়ার্ড় থেকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদের জন্য দুলাল মনোনয়ন পত্র জমা দেন। ওই দিন শিলখালী ইউপির ৮নং ওয়ার্ড়ে কোন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী সদস্য পদে নির্ধারিত সময়ে মনোনয়ন জমা দেননি। এমনকি ওই ওয়ার্ড়ের প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য আব্দুল আউয়াল প্রকাশ দুলাল ছাড়া কোন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। আব্দুল আউয়াল শিলখালী ইউনিয়নের হাজীরঘোনা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ সমর্থিত বলে জানা গেছে। শিলখালী ইউপির ওই ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য ছিলেন নুরুল আলম। তিনি ওই ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ব্যাপারে রির্টানিং অফিসার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এইচ.এম.মনিরুজ্জামান রাব্বানী জানায় ওই ওয়ার্ড়ে আর কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দেননি। বাচাই পর্বে কোন ধরনের জটিলতা না থাকলে তিনি হবেন ওই ওয়ার্ড়ের বিনা প্রতিদ্বন্ধি সদস্য।
################
পেকুয়ায় জাতীয় পতাকার অবমাননা বিষয়ে পুলিশের তদন্ত
পেকুয়া প্রতিনিধি ::::
পেকুয়ায় জাতীয় পতাকা অবমাননার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে পেকুয়া থানার এসআই শফিকুর রহমান ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের আরবশাহ বাজারে শতশত ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা পুলিশ কর্মকর্তাকে আনীত অভিযোগের বিষয়ে প্রত্যক্ষ স্বাক্ষি ও জবান বন্দি উপস্থাপন করেছেন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে আরবশাহ বাজারে জাতীয় পতাকাকে কোন ধরনের অবমাননা করা হয়নি। আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ২১ ফেব্রুয়ারীর দিন ব্যবসায়ী আবুল কালামকে পুলিশ জাতীয় পতাকা অমমাননার দায়ে আটক করে। পরে একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠায়। স্বাক্ষি যুবলীগ নেতা এম.আকতার হোসাইন, সোলেয়াম বাদশাহ পুলিশ কর্মকর্তাকে জানায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আবুল কালামের দোকানটি বাজার থেকে পৃথক স্থানে স্থিত। বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। বস্তা কেটে পতাকা বানিয়ে তার প্রতিষ্টানে টাঙ্গানোর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অসত্য। চক্রন্তকারীরা পুর্ব আক্রোশে আবুল কালামকে ফাঁসানোর জন্য পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই কথা ফাঁস করে। আরবশাহ বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মৌ.আব্দুল করিম ও সেক্রেটারী আহমদ কবির জানায় আবুল কালাম সহজ সরল লোক। তার ব্যবসায়ী প্রতি পক্ষ অহেতুক অপবাদ তৈরী করে পুলিশকে দিয়ে তাকে আটক করায়। মিথ্যা অভিযোগে তিনি কারাভোগ করছেন। পেকুয়া থানার এসআই শফিকুর রহমান জানান বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। যেহেতু জাতীয় পতাকার বিষয়। এটি অত্যন্ত সুক্ষèভাবে পুলিশ ঘটনার ক্লু ও রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পাঠকের মতামত: